অনলাইন ডেস্ক 10

চাপের মুখেও অনড় নেতানিয়াহু

অনলাইন ডেস্ক : জিম্মি মুক্তির চুক্তিতে কোনো ছাড় না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এ মন্তব্যের পর গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। দেশব্যাপী তার সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের পর এক সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু ঘোষণা দেন, হামাসের সঙ্গে চলা পরোক্ষ আলোচনায় যুদ্ধ অবসানের দাবি মানতে ‘চাপের কাছে নতি স্বীকার করবেন না’। ইসরায়েল-হামাসের যুদ্ধ এখন এর এক বছরের কাছাকাছি সময় ধরে চলছে।

ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের বিশ্লেষক মাইরাভ জোনসাইন বলেছেন, নেতানিয়াহুর মন্তব্যে বোঝা গেছে ‘যতক্ষণ না হামাস আত্মসমর্পণ করে, তিনি যুদ্ধ বন্ধ করবেন না...এবং তিনি মূলত ঘোষণা করেছেন, জিম্মি চুক্তি হবে না’।

গাজা থেকে ছয় জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের পর শোকাহত ও ক্রুদ্ধ ইসরায়েলিরা বাকি জিম্মিদের মুক্তির জন্য সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে রবি ও সোমবার রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে। সামরিক বাহিনীর দাবি, ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলার সময় জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া ছয় জিম্মিকে ইসরায়েলি সেনারা খুঁজে পাওয়ার কিছুক্ষণ আগেই তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়।

নেতানিয়াহু তার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এই খুনিরা আমাদের জিম্মিদের মধ্যে ছয়জনকে হত্যা করেছে।

নিজের রাজনৈতিক লাভের জন্য যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করার অভিযোগ রয়েছে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে।

এদিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিশ্চিত করতে কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে সোমবার দেখা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এরপর সাংবাদিকরা তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, নেতানিয়াহু জিম্মি চুক্তি সুরক্ষিত করার জন্য যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছেন কি না। উত্তরে বাইডেন বলেন, ‘না’।

ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন জোট টিকিয়ে রাখার জন্য নেতানিয়াহুকে নির্ভর করতে হচ্ছে যুদ্ধবিরতির বিরোধিতাকারী ডানপন্থীদের সমর্থনের ওপর। নেতানিয়াহু অবশ্য দাবি করেছেন, তিনি যুদ্ধবিরতি চান, বরং হামাসই কোনো ছাড় দিতে চাচ্ছে না।

নেতানিয়াহু আবার ‘হামাসের ওপর সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, ‘যুদ্ধের উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য’ গাজা-মিসর সীমান্তে অবস্থিত ফিলাডেলফি করিডরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া প্রয়োজন।

১৯৬৭ সালে গাজা উপত্যকা দখল করে ইসরায়েল এবং ২০০৫ সাল পর্যন্ত সেখানে সেনা ও বসতি স্থাপন করে।

এরপর সেনা ও বসতি স্থাপনকারীদের প্রত্যাহার করা হলেও অবরোধ বজায় ছিল।

অন্যদিকে সোমবার ইসরায়েলে কিছু অস্ত্র রপ্তানি স্থগিত করার কথা জানিয়েছে ব্রিটেন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের গুরুতর লঙ্ঘনে এসব অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে—এমন ‘স্পষ্ট ঝুঁকি’ থাকার কথাও উল্লেখ করেছে দেশটি।

সত্র : এএফপি